Hi Friends,

Even as I launch this today ( my 80th Birthday ), I realize that there is yet so much to say and do. There is just no time to look back, no time to wonder,"Will anyone read these pages?"

With regards,
Hemen Parekh
27 June 2013

Now as I approach my 90th birthday ( 27 June 2023 ) , I invite you to visit my Digital Avatar ( www.hemenparekh.ai ) – and continue chatting with me , even when I am no more here physically

Tuesday, 30 September 2025

অভিযোগ ও জবাবদিহিতা: একটি গভীর প্রতিফলন

অভিযোগ ও জবাবদিহিতা: একটি গভীর প্রতিফলন

ওয়াংচুকের গ্রেপ্তার: সত্য, অভিযোগ এবং জবাবদিহিতা

সোনম ওয়াংচুকের গ্রেপ্তার এবং তার স্ত্রী আংমোর এই গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে "ন্যাক্কারজনক মিথ্যা" বলে প্রতিবাদ, আমাকে গভীরভাবে চিন্তিত করেছে। "দেশবিরোধী" বা "রাষ্ট্রবিরোধী" এমন গুরুতর অভিযোগ যখন একজন সম্মানিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওঠে, তখন তা কেবল একটি ব্যক্তিগত ঘটনা থাকে না, বরং এটি সমাজের বৃহত্তর এক প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামোর মৌলিক ভিত্তি এবং আইনের শাসনের উপর প্রশ্ন তোলে।

আমার স্মৃতিতে আসে প্রায় এক যুগ আগে লেখা আমার একটি ব্লগ পোস্ট, "পুলিশি অত্যাচারের তদন্ত কে করবে?" Who will investigate police atrocities? সেই সময় আমি ভারতে পুলিশের বিরুদ্ধে বিপুল সংখ্যক অভিযোগ এবং তদন্তের অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম। তখন থেকেই আমার মনে এই প্রশ্ন ছিল যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি নিজেই অভিযুক্ত হয়, তবে তাদের জবাবদিহিতা কে নিশ্চিত করবে? আজ ওয়াংচুকের স্ত্রীর এই দাবি যে তার স্বামীকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা সেই পুরনো উদ্বেগকে আবার সামনে এনেছে। যখন রাষ্ট্র তার শক্তি প্রয়োগ করে, তখন সেটিকে অবশ্যই স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের সাথে করতে হবে। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিজস্ব জবাবদিহিতার প্রক্রিয়া কতটা শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।

এছাড়াও, আমার "ওয়েলকাম ন্যাটিগ্রিড, থ্যাঙ্ক ইউ শ্রী অমিতভাই" WELCOME NATGRID, THANK YOU SHRI AMITBHAI শীর্ষক ব্লগ পোস্টের কথাও মনে পড়ছে। সেখানে আমি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য একটি সমন্বিত তথ্যভাণ্ডারের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছিলাম, যা সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধ দমনে সহায়ক হতে পারে। আমার মূল ভাবনা ছিল, এই ধরনের শক্তিশালী তথ্য ব্যবস্থা কার্যকরভাবে এবং স্বচ্ছতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। তবে, যখন "দেশবিরোধী" কার্যকলাপের অভিযোগের মতো সংবেদনশীল বিষয় আসে, তখন এই ধরনের ডেটাবেস এবং গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহার প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করতে এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত রাখতে এই তথ্যগুলো কীভাবে সংগ্রহ ও ব্যবহৃত হচ্ছে, তা নিয়ে কঠোর নিয়ম ও জবাবদিহিতা থাকা জরুরি। ওয়াংচুকের ঘটনাটি আমাকে আরও একবার মনে করিয়ে দেয় যে, উন্নত প্রযুক্তি এবং তথ্য ব্যবস্থা একদিকে যেমন নিরাপত্তা জোরদার করতে পারে, তেমনই অন্যদিকে এগুলোর অপব্যবহারের সম্ভাবনাও থাকে।

একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যখন রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়, তখন সমাজের জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠে নিরপেক্ষ এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত। শুধু অভিযোগ করলেই হবে না, সেই অভিযোগের পেছনে যথেষ্ট প্রমাণ ও যুক্তি থাকতে হবে, যা প্রকাশ্যে আনা যায়। যদি আংমোর দাবি সত্য হয় যে অভিযোগগুলো "ন্যাক্কারজনক মিথ্যা", তবে এটি আমাদের বিচার ব্যবস্থার উপর একটি গুরুতর আঘাত। এটি নাগরিকদের মনে রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা কমিয়ে দেয় এবং বাক স্বাধীনতা ও প্রতিবাদের অধিকারকে খর্ব করে।

গণতান্ত্রিক সমাজে ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা একটি কঠিন কাজ। এই ভারসাম্যের জন্য একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন বিচার বিভাগ, একটি জবাবদিহি মূলক পুলিশ ব্যবস্থা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীন ভূমিকা অপরিহার্য। ওয়াংচুকের ঘটনাটি আমাদের এই বিষয়গুলি নিয়ে গভীরভাবে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে। আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, "দেশবিরোধী" তকমা যেন কোনো ভিন্নমতাবলম্বীর কণ্ঠ রোধ করার হাতিয়ার না হয়।


Regards,
Hemen Parekh

No comments:

Post a Comment